![]() |
বরিশালে গণপিটুনিতে ধর্ষণ মামলার আসামী নিহত |
বরিশালে জনতার হাতে গণপিটুনিতে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামী নিহত হয়েছে। নিহত সুজন নগরীর ধানগবেষণা এলাকার মনির মিয়ার ছেলে। সুজন পেশায় ছিলেন অটোচালক। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৫ মার্চ) ধান গবেষণা সড়কের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা চালান সুজন। পরে শনিবার বিকেলে একই এলাকার শিলা বেগম তার কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ কোতোয়ালী থানা মামলা করেন। এরপর স্থানীয়রা বিকেলে সুজনকে ধরে গাছে বেঁধে মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ৮টার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুজন।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি রান্নার পাত্র ফেরত দিতে প্রতিবেশী সুজনের বাড়িতে পাঠানো হয়। তখন ঘরের খোলা দরজা দিয়ে ওই শিশু ভেতরে প্রবেশ করে। ওই সময় ঘরে সুজন একা অবস্থান করছিলেন এবং তিনি শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। তখন শিশু মেয়েটি চিৎকার দিলে অভিযুক্ত সুজন পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে পেরে বিকেলে তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পুলিশ উদ্ধার করে অভিযুক্তকে হাসপাতালে ভর্তি করলে রাত ৮টার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
কোতোয়ালী থানার এসআই রিয়াজ বলেন, নেশাগ্রস্থ ভবঘুড়ে মাঝে মধ্যে অটোরিক্সা চালাতো সুজন। একই এলাকায় শিশু ধর্ষণের দায়ে থানায় মামলা হয়। সন্ধ্যার আগে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে গণপিটুনিতে আহত সুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার কিছুক্ষন পরই তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, সুজনকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে দেন। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ওসি আরও বলেন, ভুক্তভোগী শিশুর বাবার করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে।
অন্যদিকে, গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে নিহতর বাবা মনির হোসেন ও স্বজনদের দাবি, পূর্ব শত্রুতার জেরে সুজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। আর স্বজনরা বলছে, মনির ভালো হবার জন্য এলাকার মাদককারবারীদের এড়িয়ে চলায় বাঁধন, স্বর্ণা, রুবেল মিলে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তারা
0 Comments